তিনটে ছোট্ট ঘটনা না উল্লেখ করে পারলাম না বন্ধুরা ,
১) নয়ডার একটি ভিড় ভারাক্কা ওয়ালা মার্কেট ,,,এক বৃদ্ধ শারীরিক ভাবেও খুবই দুর্বল , ,,,প্রচন্ড গরমে রোদে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করছিলেন । আমায় দেখেও প্রত্যাশার হাত বাড়িয়ে দিলেন । টাকা আমি দিই না তাই ইতিউতি খুজলাম । আখের রসের দোকান ছিল একটু এগিয়ে, এক গ্লাস রস বরফ ছাড়া বানিয়ে সেই দাদুর হাতে দিলাম , ,,,উনি একচুমুকে শেষ করলেন । জিজ্ঞাসা করলাম আর চাই ,,,তৃপ্তির হাসি দিয়ে মাথা নাড়লেন আর দু হাত তুলে আশীর্বাদ করলেন । মনে হল সত্যি বোধহয় রামধনু উঠেছে আকাশে।
২)দমদম ক্যান্টনমেন্ট এ 7 তারিখ ছোট্ট বাচ্ছাদের খাওয়ানোর পর ফিরছি, ,, এক বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে যাওয়া দাদু ,,,আমাদের পাস দিয়ে চলে যাছিলেন হঠাৎ মনে হল ,,উনি কিছু বলছেন,,,দাঁড়িয়ে পড়ে জিজ্ঞেস করলাম । উনি বললেন 10 টা টাকা দেবে মা একটু চা বিস্কুট খাবো। বললাম চলুন কি খাবেন আমি খাওয়াছি । বললেন না না আমি নিজেই পারবো , পারলে শুধু ওই 10 টাকা দাও। দিলাম 20 টাকা বললাম আবার সাথে যাবার কথা ,,,কিন্তু উনি চলতে শুরু করলেন । দেখলাম গায়ের ফতুয়াটা শত ছিদ্র 😥
৩) আমার ছোট্ট পুচু সোনার (দেওরের পুচকে) জন্য কেক নিয়ে বেরছি সুগার এন্ড স্পেস থেকে সামনেই একটা রোগ পাতলা ছেলে ছেড়া চটি পরে দাঁড়িয়ে ,,,, আমায় আধো আধো স্বরে বললো "আন্টি আমায় একটা পেস্ট্রি খাওয়াবে" । বললাম আয় ,,,ভেতরে সাজানো পেস্ট্রি দেখিয়ে বললাম কোনটা খাবি । দেখালো চকোলেট পেস্ট্রি । কিনে দিলাম , বললাম বসে খা এক গাল হেসে রাস্তার পাশে পা ছড়িয়ে বসে একটু একটু করে খেতে শুরু করলো।
এমন অনেক ঘটনার আমি সাক্ষী। কিন্তু এই তিনটি ঘটনা সাম্প্রতিক কালেই হয়েছে মনকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা কত জন খাবার নষ্ট করি আর কতজনের কাছে ওই সামান্য টুকুও কত কাঙ্খিত । কবে যে হ্যাভ এন্ড হ্যাভ নটস এর পার্থক্য দূর হবে , সবাই দুবেলা দুমুঠো খেতে পাবে জানি না । ছোট বাচ্চারাও কত বোঝে ,,,একবার একটা বাচ্চাকে খাওয়াবো বলায় সে বলে , দিদি আমার বোনকে ডাকি ও সকাল থেকে কিছু খায়নি। এমন পরিস্থিতিতে ভীষন কষ্ট হয় । জানিনা কতজনের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো একবেলার জন্য হলেও ,,,,,
১) নয়ডার একটি ভিড় ভারাক্কা ওয়ালা মার্কেট ,,,এক বৃদ্ধ শারীরিক ভাবেও খুবই দুর্বল , ,,,প্রচন্ড গরমে রোদে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করছিলেন । আমায় দেখেও প্রত্যাশার হাত বাড়িয়ে দিলেন । টাকা আমি দিই না তাই ইতিউতি খুজলাম । আখের রসের দোকান ছিল একটু এগিয়ে, এক গ্লাস রস বরফ ছাড়া বানিয়ে সেই দাদুর হাতে দিলাম , ,,,উনি একচুমুকে শেষ করলেন । জিজ্ঞাসা করলাম আর চাই ,,,তৃপ্তির হাসি দিয়ে মাথা নাড়লেন আর দু হাত তুলে আশীর্বাদ করলেন । মনে হল সত্যি বোধহয় রামধনু উঠেছে আকাশে।
২)দমদম ক্যান্টনমেন্ট এ 7 তারিখ ছোট্ট বাচ্ছাদের খাওয়ানোর পর ফিরছি, ,, এক বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে যাওয়া দাদু ,,,আমাদের পাস দিয়ে চলে যাছিলেন হঠাৎ মনে হল ,,উনি কিছু বলছেন,,,দাঁড়িয়ে পড়ে জিজ্ঞেস করলাম । উনি বললেন 10 টা টাকা দেবে মা একটু চা বিস্কুট খাবো। বললাম চলুন কি খাবেন আমি খাওয়াছি । বললেন না না আমি নিজেই পারবো , পারলে শুধু ওই 10 টাকা দাও। দিলাম 20 টাকা বললাম আবার সাথে যাবার কথা ,,,কিন্তু উনি চলতে শুরু করলেন । দেখলাম গায়ের ফতুয়াটা শত ছিদ্র 😥
৩) আমার ছোট্ট পুচু সোনার (দেওরের পুচকে) জন্য কেক নিয়ে বেরছি সুগার এন্ড স্পেস থেকে সামনেই একটা রোগ পাতলা ছেলে ছেড়া চটি পরে দাঁড়িয়ে ,,,, আমায় আধো আধো স্বরে বললো "আন্টি আমায় একটা পেস্ট্রি খাওয়াবে" । বললাম আয় ,,,ভেতরে সাজানো পেস্ট্রি দেখিয়ে বললাম কোনটা খাবি । দেখালো চকোলেট পেস্ট্রি । কিনে দিলাম , বললাম বসে খা এক গাল হেসে রাস্তার পাশে পা ছড়িয়ে বসে একটু একটু করে খেতে শুরু করলো।
এমন অনেক ঘটনার আমি সাক্ষী। কিন্তু এই তিনটি ঘটনা সাম্প্রতিক কালেই হয়েছে মনকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা কত জন খাবার নষ্ট করি আর কতজনের কাছে ওই সামান্য টুকুও কত কাঙ্খিত । কবে যে হ্যাভ এন্ড হ্যাভ নটস এর পার্থক্য দূর হবে , সবাই দুবেলা দুমুঠো খেতে পাবে জানি না । ছোট বাচ্চারাও কত বোঝে ,,,একবার একটা বাচ্চাকে খাওয়াবো বলায় সে বলে , দিদি আমার বোনকে ডাকি ও সকাল থেকে কিছু খায়নি। এমন পরিস্থিতিতে ভীষন কষ্ট হয় । জানিনা কতজনের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো একবেলার জন্য হলেও ,,,,,
No comments:
Post a Comment