Tuesday, June 23, 2020

ঘুম ঘোরে ওই স্বপ্ন দেখা

আমি লব টুলিয়া বৈহার যাবো। গ্রীষ্মের প্রখর রৌদ্রে টিলার উপর দাঁড়িয়ে দিগন্ত বিস্তৃত পলাশ আর জঙ্গলের মাথায় বুনো তেউড়ির সাদা ফুল দেখবো। শুকনো মাটির খসখসে গন্ধ , শুকনো ঘাসের গন্ধ নেব প্রাণ ভরে। পূর্ণিমার রাতে ক্ষেতের মাঝে কাশের ঝাড়ের খুপরি বানিয়ে থাকবো। ছোট্ট ঘুলঘুলি দিয়ে দেখবো ফটফটে চাঁদের আলোয় ভেসে যাওয়া সর্ষে ক্ষেতের সৌন্দর্য। রাত শেষে আগত ভোরের শিশির ভিজিয়ে 
দেবে আমার প্রাণ - মন । শীতের পরশে কুঁকড়ে যাবো যখন , কলাইয়ের ভুষির ওমে আরাম খুঁজে নেবো। 

কাঁচা শাল পাতায় মোটা চালের ভাত আর বন কুমড়ির তরকারি মেখে খাবো , আর খাবো বনকুল মাখা। হাঁটু জলের কারা নদীতে গা ভাসিয়ে দেব, করবো চেষ্টা বৃথা সাঁতার কাটার। গামছা পেতে ধরতে চাইবো মাছ --- রাতের তারাদের সাক্ষী করে সেই মাছ বুনো ঝোপের আগুনে পুড়িয়ে একটু একটু করে খাবো আস্বাদন নিয়ে । মশলার দরকার নেই , ওই বুনোকুলের আচার দেবে যথার্থ সঙ্গত। 

কচি শাল গাছের মতো দেহ সৌষ্ঠ্যব নিয়ে জগরু পান্নার মত কেউ আমায় পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে জঙ্গলের মাঝে , যেখানে বুনো মহিষের দেবতা টাড়বারো দাঁড়িয়ে থাকেন অন্ধকার রাতে। আর সেই জলাশয় যেখানে কত নাম না জানা পাখি , ফুল লতা পাতা কোনো বারণ মানে না । বেড়ে চলে নিজের আনন্দে। 

নরম তুলতুলে সজারুর মাংস খাবো তথাকথিত আদিম বর্বরদের সঙ্গে বসে , মিশে যাবো তাদের ঘাম গন্ধ আর ভুলে যাওয়া ইতিহাসের গল্পের মধ্যে । তাঁদের কেউ মনে রাখেনি , রাখতে চায়নি। তাঁদের সহজ জীবনে আমাদের এই কঠিন শহুরে জীবন শিকলের মতো মনে হয় , মনে হয় শ্বাস রুদ্ধ করে দেবে প্রতি মুহূর্তে। 

ওই পাহাড় , জঙ্গল আর জঙ্গলের মানুষ ডাকছে ,,, বড় আদিম সেই ডাক। যে শুনেছে সেই নিশির ডাক --- বড় কঠিন  বাড়িতে থাকা। উঁচু ইট কাঠ পাথরের জঙ্গল ভেদ করে সেই ডাক আমি শুনতে পাই --- 
"I can hear you but I won't
Some look for trouble while others don't
There's a thousand reasons I should go about my day
And ignore your whispers which I wish would go away, oh oh oh"..... (lines from film frozen 2)



ছবি নিজস্ব

Saturday, February 22, 2020

হারিয়ে যাওয়া রান্না (১)

নতুন আলু আর ভালোবাসা

আজ রবিবার , কিন্তু তাই বলে কি নিস্তার আছে??! নাহ এক্কেরে নেই। মোবাইলের ঘন্টি ছাড়াই ঘুম ভেঙে যায় - কি জেবন কালীদা 😢 কিছুক্ষন বৃথা চেষ্টা চালালাম আবার ঘুমানোর , কিন্তু হা ঈশ্বর আমার সেই ক্যালি নাই , তাই হালকা বালাপোষ এর মোহ ত্যাগ করে  শেষমেষ উঠেই পড়লাম। আদা দিয়ে চা বানিয়ে কত্তা গিন্নিতে সদ্য হওয়া বিয়ে থেকে শুরু করে কালকের ভারডিক্ট নিয়ে একটু চর্চা করলাম। ততক্ষনে ঘড়ি বাবু বেশ জোরেই দৌড়াচ্ছে। তাই কালকের আনা নতুন আলু গুলোর উপর নজর গেল। ব্যস তারপর আর কি পুরো ইতিহাস তৈরী করে ফেললাম। নতুন আলুর দম একটু ধনে পাতা ছড়িয়ে আর সাথে লুচি --- ভাবতেই মনে হলো এক কিলো ওজন বাড়লো।কিন্তু ওজনের তোয়াক্কা করলে তো আর রসনার পরিতৃপ্তি সম্ভব না। অতএব , কাজে লেগে পড়া যাক। আহা নুন হলুদ মাখিয়ে হালকা সেদ্ধ করে রাখা আলুগুলোকে যখন ভাজলাম মনে হলো এক একটা সোনার বল যেন । কি তার রূপ কি তার  টেস্ট। আরে ভেজে যদি একটা দুটো টেস্ট না করলাম তাহলে রান্না করা ব্যর্থ। এবার আদা টমেটো আর কাঁচা মরিচ দিয়ে গুঁড়ো মশলা কষিয়ে ভাজা আলু গুলো দিয়ে দিলাম। মসলাগুলোর সঙ্গে এমন মাখামাখি হয়ে গেল যেন , নতুন প্রেমের ছোঁয়া -- ইস কি আদিখ্যেতা। দিলুম তাই একটু গরম জল ঢেলে☺️ মোটেও আমায় ভিলেন ভাববেন না। জল দিতেই দেখুন কেমন সিংকিং সিংকিং ড্রিংকিং ওয়াটার করতে লাগলো 😀😀 এমন ঘুরে ঘুরে নাচতে লাগলো যে আমিই হেঁড়ে গলায় গাইতে লাগলাম "কি আনন্দ কি আনন্দ কি আনন্দ ,, দিবারাত্রি নাচে মুক্তি" ,,,, তা সেই নাচ দেখার বিশেষ সুযোগ হল না। নুন মিষ্টি চেক করে ওপরে ধনে পাতা ছড়িয়ে তাদের ঢেকে দিলাম । বাছারা একটু জিরিয়ে নিক , ততক্ষনে লুচি বানাই । ময়দা নিইনি আজ , আটা দিয়ে বানিয়েছি লুচি। তা নিন্দুকদের যা বলার বলতে দিন , আটার লুচি বা পুরী স্বাস্থ্যকর অপশন , আর ঠিকঠাক বানালে টেস্টও বেশ ভালো। যাইহোক , ওদিকে ছেলে চেঁচাচ্ছে , আমার পিকআপ ভ্যান এসে যাবে তাড়াতাড়ি দেবে খেতে । সেই মধুর বাণী শুনতে শুনতেই হাজির হলাম তার সামনে ফুলকো লুচি আর একবাটি ভালোবাসা নিয়ে। না তারপর আর কোনো চিল্লামিলি শোনা যায়নি ,,,,,, আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে ,,,😍😍



Wednesday, February 19, 2020

অরণ্য ডাকছে


জঙ্গলের সাথে আমার পরিচয় জিম করবেটের হাত ধরে। যখন ছোটবেলায় রুদ্রপ্ৰয়াগে গিয়ে সেই আমি গাছটা দেখলাম যার মাথায় মাচা বেঁধে জিম করবেট রুদ্রপ্ৰয়াগের মানুষখেকো বাঘকে মেরে ছিলেন, মনে হয়েছিল আমিও যেন সেই ঘটনার সাক্ষী হলাম। সেই অদম্য আকর্ষণ ভালোবাসায় রূপান্তরিত হলো বুদ্ধ বাবুর লেখনী ধরে বাংরিপোসীর দু রাত্তিরে লবঙ্গীর জঙ্গলে । শৈশবের সরল ভালোবাসা রোমান্টিকতার ছোঁয়ায় এক মহিরুহের আকার নিল। জীবনের রাস্তা হয়েছে সুদূর, ঘুরেছি অনেক আর জঙ্গলের প্রতি আহ্বান হয়েছে দুর্নিবার। তারই টানে এবার আমরা এসেছি 'মোহান' এ । জায়গাটি ভারতের উত্তরখণ্ডের আলমোড়া জেলার অন্তর্গত, রামনগর থেকে ৩০ কিমি মতো আর দিখালা যাবার ধান গির গেট থেকে ৪ কিমি দূরত্বে। বেশি পপুলার না বলে লোকজন এর ভিড় কম।আমরা ছিলাম KMVN এর রেস্ট হাউসে। ৪ বেডের রুম ও নাস্তা ও রাতের খাবার সমেত ছিল আমাদের বুকিং।

ঘরের জানলার পর্দা সরালে সামনেই বিশাল জঙ্গল , মনে হয় হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারবো যেকোনো বন্য প্রাণীকে। পাখিদের অকারণ ডাকাডাকি, ঝিঁঝিঁ পোকার কীর্তন জঙ্গলে অর্কেস্ট্রার উপলব্ধি করায়। আমাদের কটেজের চারপাশে শুধু সেগুনের ভিড় আর রাস্তা পার হলেই আরো না জানি কত গাছ এসে ভিড় জমিয়েছে শাল, সেগুন, ইউক্যালিপটাস, অমলতাস। কী তাদের পাতার রঙের বাহার আর অমলতাসের হলুদ ফুল যেন এক ওপেন ক্যানভাস। যে যা চাইছে এক মুঠো রঙ দিয়ে যাচ্ছে। বর্ষা আসন্ন, তাই গ্রীষ্মের দাবদাহে কিছুটা কাহিল হয়ে পড়েছে প্রকৃতি। কিন্তু বাতাস  নিয়ে এসেছে বৃষ্টির খবর, তাই "তার লাগি উন্মনা মন"। সামনের রাস্তা সিধা রানিক্ষেতের দিকে চলে গেছে, তাই মাঝে মাঝেই তীব্র বেগে গাড়ি চলে যাচ্ছে সাথে অকারণ হর্ন বাজিয়ে, জঙ্গলের নীরবতা ভঙ্গ করে ।

তবু নেমেছে ছায়া, দীর্ঘতর হয়েছে তার আকার। খাই এর ধারে একটা অস্থায়ী বেঞ্চে বসে আছি, সামনে বয়ে যাচ্ছে শীর্ণকায় কুশি নদী। নদীর ওপারে ঘন জঙ্গল আর পাহাড়। পলক না ফেলে সন্ধানী চোখ খুঁজে চলে বিশালকায় কোনো গর্বিত হস্তিনী বা ডোরা কাটা কালো হলুদে জার্সি পড়া সেই রয়্যাল কে। ঠান্ডা হাওয়া চোখে মুখে ঝাপটা মেরে যাচ্ছে, ঝিঁঝি পোকা সুযোগ পেয়ে আরো সরব হয়েছে। সব মিলে মিশে পরিবেশ অতি মনোহর। ক্লান্ত টিয়ার দল ডেকে ডেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে, শুকনো পাতা খসে পড়ার আওয়াজও এখন শুনতে পাচ্ছি।

রাতে বেরিয়েছিলাম গাড়ি নিয়ে। বেশ কিছুটা যাবার পর হঠাৎ গাড়ি থামাতে হলো, সামনে এক ঝাঁক হরিণ। spotted ডিয়ার বা চিতল ছিল, গাড়ির হেড লাইটের আলোয় ওদের মসৃন ত্বক চকচক করছিল। আচ্ছা এরাও কি নিজেদের ত্বক ভালো রাখতে দই খায় বা কোনো রূপটান দেয় 😇 বড় জানতে ইচ্ছা হয়। কিছু হঠকারী চালকের জন্য এমন দৃশ্য দীর্ঘস্থায়ী হলো না। আবার এগিয়ে চলা। কিছুটা যাবার পর একটা শুকনো  জলধারা পেলাম । সেখানে আগে থেকেই একটা জিপ দাঁড়িয়ে ছিল। আমরাও দাঁড়ালাম। প্রথমে বেশ কয়েকজোড়া জ্বলন্ত চোখ নজরে এলো। অন্ধকারে চোখ ধাতস্থ হতে আর অন্য গাড়ির আলো পড়তে দেখলাম খান পাঁচেক সম্বর দাঁড়িয়ে সাথে একটি বাচ্ছাও। তারাও চুপচাপ দাঁড়িয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ করলো । আবার কিছুটা এগোতেই আবার একটা জলধারা , সেখানে দেখলাম এক বিশাল টাস্কর বা দাঁতাল কে। প্রথমে বোঝা যায়নি তার উপস্থিতি, নিজেকে ঝাড়ির আড়ালে রেখেছিল। ভালো করে বুঝতে বুঝতে অনেকটা কাছে চলে আসে । একটু ভয় তো পেয়েছিলাম বটেই। দ্রুত সেখান থেকে কোন আওয়াজ না করে বেরিয়ে যাওয়া হলো। রাতের জঙ্গলের আলাদা গন্ধ ।

৬/৬/২০১৮
সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। ঘরের একদিকের দেওয়াল পুরো কাঁচের । পর্দা সরালেই জঙ্গল হাতছানি দেয়। রেস্ট হাউসের কুকুরটা মাঝে মাঝেই ডেকে উঠেছে। আর ততবার আমি পর্দা সরিয়ে দেখেছি ,,,যদি বিশেষ কারো দর্শন পাওয়া যায়। এভাবেই কখন পৌনে চারটে বেজে গেল । আবার সাজ সাজ রব। ঠিক চারটে বেরিয়ে পড়লাম আমরা চারজন আর ড্রাইভার ভাই পাপ্পু যোগী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পাপ্পু ভাই খুবই ভালো চালক ও সাথী। দূরের ও দুর্গম জায়গায় ভালো চালক পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার বটে।

চারিদিকে এখন আর বেশি অন্ধকার যেন। প্রতিটা মুহুর্তে মনে হচ্ছে এই বুঝি তার দেখা মেলে। পাহাড়ে আলো ফোটে খুব তাড়াতাড়ি। আবছা আলোয় জঙ্গল পাহাড় এর সে কি মায়াবী রূপ। মনে হচ্ছিল গাড়ি থেকে নেমে ছুটে গিয়ে প্রকৃতিকে আলিঙ্গন করি। পরমুহূর্তেই মনে পড়লো নিজের সাথে সাথে আমার সাথীদের ও বিপদগ্রস্ত করবো আমি, তাই কিছু ভাবনা মনের মনি কোঠাতেই থাক। একে একে দেখা হল বার্কিং ডিয়ার, স্পটেড ডিয়ার, সম্বর । অপেক্ষা ছিল হাতির। বেশি দেরি না করেই দেখা দিলেন তারা। পুরো পরিবার সমেত। ছোট দুটো সদস্য সবচেয়ে মন কাড়া । একটি ছিল কৈশোর কালের, দাঁত একটু বড় হয়েছে। তার সামনে আমাদের গাড়ি দাঁড়াতে তার বাবা কাকা কেউ একজন অসন্তোষ প্রকাশ করে, তাই দেখে সাহস পেয়ে খোকাবাবুও দুই কান ঝাপটিয়ে মাথা নাড়িয়ে চলে যেতে বললো। আমরা এগিয়ে গেলাম । দূরত্ব বজায় রেখে গাড়ি থেকে নেমে প্রাণ ভরে দেখলাম তাদের গজগামিনী চলন, রাজসিক আচরণ। আবার কিছুটা এগিয়ে যেতে পরিখার মধ্যে দুটি হাতি, দুটোই দাঁতাল গাছের ডাল ভেঙ্গে প্রাতরাশ করতে ব্যস্ত। আরো কিছু দূর যেতেই সেই চওড়া শুকনো জলধারা । এক বিশালকায় দাঁতাল একাই ঘুরছে। অনেক্ষন ধরে তাকে দেখলাম। হঠাৎ সে জঙ্গলে অন্তর্ধান হতে আমরাও এগোলাম। কে জানতো সে আগেই আমাদের রাস্তায় আসবে বলেই, গাড়ি কিছুটা এগোতেই দেখলাম পাশের জঙ্গল থেকে সেই দাঁতাল বেরিয়ে আসছে। আমাদের গাড়ি আগে পিছনে সে। আহা সে কি অভিজ্ঞতা 'জন্ম জন্মান্তরেও ভুলিব না।' বেশ কিছুক্ষণ আমাদের পিছু চলার পর সে রাস্তা বদল করলো।
ফিরে এলাম গেস্ট হাউসে, মাখন দিয়ে আলুর পরোটা আর অমলেট খেয়ে একটু আরাম করে নিলাম। সারা রাতের ক্লান্তি দু চোখে নেমে এলো ।

সন্ধ্যা নামার একটু আগে আবার আমরা বেরিয়ে পড়লাম । ধান গির গেট এর কাছে পৌঁছাতেই দেখি সবাই গাড়ি থামিয়ে দাঁড়িয়ে, রেঞ্জাররা ছোটাছুটি করছে, খোঁজ নিয়ে জানলাম এক পাল হাতি বেরিয়ে এসেছে রাস্তার উপর। গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে গেলাম। কি মন ভরানো দৃশ্য তিনটে শিশু হাতি নিয়ে অনন্ত পক্ষে ১২-১৪ জনের হাতিদল। রাস্তা ছেড়ে তারা পাশের জঙ্গলে নেমে ভোজনে মনোনিবেশ করতে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হলো। আমরা বহুক্ষণ দাঁড়িয়ে সে মনোরম দৃশ্য উপভোগ করলাম। এগিয়ে গেলাম আরো কিছুটা, অনেক চিত্রল ও সম্বর দেখলাম । ফিরে আসার সময় আবার হৈ হৈ কান্ড । কিছু ড্রাইভার খবর দিলো একটা দাঁতাল একটা গাড়িকে আস্তে করে ঠুকে দিয়েছে । তবুও এগিয়ে চললাম,  গেস্ট হাউসে ফিরতে হবে । বেশ কিছুক্ষণ চলার পর সেই শুকনো জলধারার কাছে আবার সেই দাঁতাল, এবার দুটো। আলো আধারিতে ফটো তোলা যাচ্ছে না। ফ্ল্যাশ ব্যবহার করলে বন্য প্রাণীরা বিরক্ত হয়। যথাসম্ভব সাবধানে এগিয়ে গেলাম ওদের পাশ দিয়ে। একটা ঠান্ডা স্রোত যেন শিরদাঁড়া দিয়ে নেমে গেল। একেই বলে জঙ্গল মে দঙ্গল । যার ঘর সেখানে গিয়ে আমরা হুজজুতি করছি, তারা কেন তাহলে রাগবে না? বাইক চালকরা বিনা সাইলেন্সারে ভয়ংকর আওয়াজ করে চলে যাচ্ছে, অরণ্যের নিস্তব্ধতাকে খান খান করে। কি আনন্দ তারা পায় জানি না।

৭/৬/২০১৮
আজ আমাদের ফিরে যাওয়া। মন ভারাক্রান্ত । আমাদের মন খারাপ যেন জঙ্গলেও ছড়িয়ে পড়েছে, তাই বুঝি শুনি না পাখির ডাক, পাই না হরিণের দেখা, বাঁদরের উঁকি ঝুঁকি। জঙ্গল এ ঘুরতে গেলেই হবে না, জঙ্গল কে ভালোবাসতে হবে। নিজেদের শহুরে আবর্জনা ছড়িয়ে আসলে হবে না । আনন্দে আত্মহারা হয়ে চিৎকার করে তথাকথিত সভ্যমানুষ কাকে জানান দিতে চায় নিজের উপস্থিতি, জানিনা। অরণ্যের গন্ধ, নীরবতা কিছু না কিছু জানিয়ে যায়। জিম করবেট নই আমি, শুধু পড়েছি, উপলব্ধি করেছি । চেষ্টা করেছি প্রকৃতিকে নিখাদ ভালোবাসা টুকু ফিরিয়ে দিতে। আবার ফিরে আসবো, নিশ্চিত... কোন পাখি বা গাছ হয়ে ।

Friday, February 14, 2020

A Note - Unusual friendship

Soon, I am going to experience my 40+ spring. So, it means, I will be through my 40+ fall Autumn as well. Oh! That's a long way. But adding feathers in the cap doesn't mean I am getting old. Don't you know, the 40 is new 20. Yes! Yes! Yes!  love, family, friends, enthusiasm, adventure, passion and faith put me in the right path. Every day is packed with surprises..some good n some not so good.
Friends have been a constant source of love and compassion and encouragement in my life, a very essential part of my being. So many friends ... different religions, countries, and ages. But the most special one is my husband. I met this hunky-dory man some 22 yrs ago and since then the friendship grown to many folds. He is my partner in crime- from teaching me to booze, to experience with weeds, taking a bike ride in the rain. There are more in the pot but better not to reveal. So we did all... together. He trusts me more than anyone, gives me freedom without clipping my wings. We had our share of fight, but which friendship doesn't have. So here,  we are celebrating happy 22nd year of togetherness, friendship with chicken curry and rice, a typical Bengali Sunday brunch.

P.S:  Life without friends is curry without garam masala.


@anindita

Sunday, February 9, 2020

La La Land - Minicoy

"To one who has been long in city pent,
  'Tis very sweet to look into the fair
   And open face of heaven,—to breathe a  prayer
  Full in the smile of the blue firmament.
  Who is more happy, when, with heart's  content
   Fatigued he sinks into some pleasant  lair"   - John Keats

I sank my tired city soul in the arms of white sand of Minicoy. The water was so clear that even the Arabian sea could not make me cry. As if I was bathing in the glass of blue margarita. Wow, life can not be more beautiful as I look towards my family, were busy kayaking and making merry out of the limited time we had. I was in no mood to return to the mainland. Full of oxygen, no pollution, good people around us and good food...what can be a more perfect way to spend a holiday. Oh, yes I won't mind having a or few books of my favorite authors, good music and lots of sunscreens.




Minicoy, locally known as Maliku is the southernmost atoll of the archipelago of Lakshadweep, India. Administratively, it is a census town in the Indian union territory of Lakshadweep. The cultural traits of Minicoy differ from those of any other island in Lakshadweep. Manners, customs, lifestyle, and food are similar to those of the Maldives to the south of Minicoy and Malikubas. Minicoy islanders, like the nearby Maldive islanders, follow Islam.


MV Corals, MV Lagoons, MV Amindivi, MV Arabian Sea, MV Bharat Seema, MV Dweep Setu, MV Kavaratti, MV Lakshadweep Sea, and MV Minicoy are the important passenger ships connecting Lakshadweep with Kerala. The passage takes between 14 and 20 hours. We took the package from The Society for Promotion of Nature Tourism and Sports (SPORTS) and boarded the ship MV Kavaratti.

According to our package, we weren't able to stay on the island but for sure I want to come back here in an exclusive Minicoy package of SPORTS and that too in full moon night. SPORTS is maintaining an excellent Resort in Minicoy, next to the milky white seashore. I just couldn't hold my imagination from thinking myself and my family seating in the white sand and watching the full moon coming out of the cloud casket while the sun was still trying to embrace the blue lagoon and sank himself at the bottom of it. The pleasant wind and the well-orchestrated sound of nature takes one to a walk-in poetic lane.

"Blow gently over my garden
 The wind of Southern sea

In  the hour  my love
Cometh and calleth  me."
The Light House
The Resort
The Beach
kayaking... it's free ...free :)
Milky white sand 
A jetty for me only 
How to visit Minicoy

Nearest airport: Agati and Cochin

Waterways: Well connected with main Island. There are four passenger ships; MV Minicoy, MV Tippu Sultan, MV Amindivi and MV Bharat Seema for Minicoy. High-speed water vessels are also available from Agati Island, in fair seasons.

Best Season: September to April end.

Where to Stay: Minicoy Island Beach Resort 

Minicoy Festival package: This is offered by SPORTS, the most trusted one in this island tourism. 

Follow the link: 

Contact - mail@lakshadweepadventures.com
                  mail2lakshadweep@gmail.com

If you like my write up, Do not forget to follow me for more, leave your feedback and feel free to share with your friends with the hashtag #kaleidoscopicwindow.

@anindita


                               

Sunday, February 2, 2020

Three Magic Herbs - A must have for your Body

Being a foody, I always need to be extra cautious about nutrition and health issues. A portion of healthy food is balanced with nutritional properties & taste. Here herbs play a pivotal role. These succulent leaves add flavors, tastes, and colors to your platter. We all know about coriander, cilantro, mint, parsley, sage, etc. and they are very famous among chefs & foodies. But there are some magic herbs, which are not so popular yet have exceptional medicinal value to keep us healthy. Too much adulteration, pollution, and unhealthy foods gradually taking a toll on our health and that's another reason to look for magic herbs to keep my family strong. Today I will share with you some of my secrets for a healthy lifestyle.

Indian Pennywort or Thankuni


Centella Asiatica, commonly known as Gotu Kola, Thankuni, Indian pennywort, Asiatic pennywort or Mandookparni, is an herbaceous, frost-tender perennial plant in the flowering plant family Apiaceae. It is indigenous to the Indian subcontinent, Southeast Asia, and wetland regions of the Southeastern US. It is used as a culinary vegetable and also as a medicinal herb. In Myanmar, Bangkok, Srilanka, India this herb is used as a salad leaf, cold rolls, etc. They mix it along with other ingredients like shallots, lime juice, bean sprouts, and coconuts. Some make juice and chatni also with this aquatic herb. Some people cook the leaves with lentils, pumpkin or use it even in fish curry. But, one thing to remember, the herb is neither cooked with too much of spices nor overcooked. People prefer to eat it raw because of its natural medicinal properties. It is recommended in the Ayurveda that, the leaf has antioxidant properties along with amino acid beta carotene fatty acid and phytochemicals. Therefore, it helps to clean your guts, make your skin glow, re-boot your digestive system. It is advised to take as raw in early morning empty stomach or any time of the day but not at all spicy. So let's start bringing some Centella.

Tulsi or Basil

Ocimum basilicum
Study says, there are 50 to 150 varieties of basil but not all of them are in use either in cuisine or as a medicinal plant. Basil is an aromatic perennial herb and belongs to the mint family. Basil is native to tropical regions from South East Asia to Central Africa. Mainly two varieties are in use widely -- Sweet basil and Holy basil. We can see wide use of sweet basil leaves in Italian cuisine and also in Thai, Indonesia & Vietnamese cuisine. In diet, it provides sweetness, earthy flavor, nutrients and works as antioxidant property. It is enriched with vitamin K and calcium. Holy basil is being cultivated for traditional and medicinal uses. Even its essential oil is also very much sought after. It is often called as Tulsi or Tulasi. In the Indian subcontinent and southeast Asia, it is widely used for therapeutic purposes. Traditional uses include natural remedies for common cold and cough, snakebites and also act as preventive medicine in some cancer cases. Even modern medicines have also acknowledged the medicinal properties of Tulsi.
Ocimum gratissimum

Neem



A very popular medicinal herb Neem comes from the Neem tree. Neem tree belongs to the Mehgony family and grows in tropical &sub tropical zone. It is native to India, Bangladesh, Pakistan, Srilanka, Myanmar, and Malaysia. It can reach up to 50-115 feet and it is evergreen. Neem has been an integral part of Ayurveda for over two millennia. It is used as antibacterial, anti-fungal, anti-diabetic and sometimes as contraceptive & sedative also. Earlier days, its twigs were being used as datum or natural toothbrushes. Even today also, many people use it for tooth-related problems. In season change, its leaves are used as antifungal and antibacterial remedies. Neem oil is used in lotion, soap, shampoo, and other cosmetic products. Neem is useful for damaging over 500 types of insects, mites, ticks, and nematodes, by changing the way they grow and act. Neem is one of a kind tree whose every part has medicinal properties. People chew raw neem leaves, use them in cooked dishes. Its flower and fruits are also been used in some delicacies, though it has a bitter taste. So next time, if you find a neem tree, grab some leaves, wash them and then either chew or rub them against your skin-- either way it’s good for health.
If you like my write up, Do not forget to follow me for more. Would love to hear your feedback and feel free to share with your friends with the hashtag #kaleidoscopicwindow.

Thursday, January 30, 2020

PUPPET AND LIFE

"You have the right to love 
and be loved as well. 
The right to, not just break but, shatter from your shell.
Run free, run proud 
sing to me and sing it loud. 
Slacks and dresses spinning and twirling, 
backs and arms bending and curling. 
Dance like the puppets do 
not seeing the strings touching you. 
please puppet master loosen your grip 
please god let his hand slip...."
 by Anthony Jarell Alexander, September 2011


Varun Narain's creation

"Puppets are actors though not human beings. Nor are they barely bits of woods and rags. Just as a mask is considered as 'the other face of man', Puppet is in fact, the Mask complete, from which the human actor has withdrawn, not to be disassociated but to be united with subtler objectivity for exploring yet another dimension of Theatre - yet another plane of reality". 

As the famous Mr. Richard Pischel said, "It is not improbable that the Puppet play is in reality everywhere, the most ancient form of dramatic representation." But if we dig more to find the place of origin of puppetry... well there is controversy. But the majority says, puppetry have originated in India earlier than 5th century BC, no country can perhaps claim such a long tradition in this form of art. In ancient tantric tradition and also according to the Vedanta, the essence of human life is referred to as the Ojas or the life-giving force. 
Famous puppeteer and my professor from MCRC Varun Narain and his puppet

Realising the complete parallel of the art of puppetry, where the Puppet is nothing but the reactive-self, manipulated by the external manifests - that is the puppeteer, making it possible...


Varun Narain's Creation 
Now the question is, is there any psychological reason behind making puppets? Well... well... well... we all have a strong desire to escape reality. Psychologist calls it 'wish fulfillment'. The Puppet's power of offering escape from reality through wish fulfillment is the secret of its surprisingly universal appeal which comes through identification, not with any of the Puppets but with the Puppeteer. Perhaps the largest prejudice towards puppetry and its contribution to psychology was evident in the witch hunts in Europe.
As Civilization advanced it was recognized that Puppets do not only mystify, but they also do entertain. The old traditional puppetry has been reinvigorated and Puppets have been successfully introduced to many new spheres of activity, such as education, therapeutic, rehabilitation of handicapped children, propaganda, advertising cinema and television. It has been recognized that there is no limit to the power of Puppets to provide aesthetic entertainment.
Farhatulla Beig and some local kids interacting with string puppet
Actually, puppetry can send a message more effectively and efficiently and in a non-threatening way to the children and parents and as well as to the mass than any other medium. Messages like on sex education or hygiene or communal harmony or infanticide. Puppetry can be a teaching aid in the classroom, no matter what type of Puppets you are using. A simple cut out can be more effective than a chalk n duster in the blackboard. It allows children to escape in their imaginary world. It not only delivers information but touches our inner self and awakens our subconscious mind, brings out our fear, regression.

If you like my write up, Do not forget to follow me for more, leave your feedback and feel free to share with your friends with the hashtag #kaleidoscopicwindow.

@anindita

Sunday, January 26, 2020

FREEDOM IS NEVER FREE

Over the years, I have learned that 'Freedom is never free.' Freedom costs us more than just sweat and blood or whatever we are forced to give.  It costs us the lives of our fathers, our sisters and brothers and many more. But while freedom is never free, we have to remember that, it has been bought at a great price and with it comes to great responsibility. As I stepped inside the great yet notorious cellular jail, a chill gone down my spine. And soon I realized that what actually freedom means. The twilight hush, the lazy evening sky, and a retiring sun may set our mind free but the boundary wall won’t let you go too far. As if, I am a kite but my movement is maneuvered by the invisible kite man. Though there were many visitors still I felt alone. The corridors, now echoing with the juvenile chirps of the young ones. But the silent screams of our brave heroes could be heard. 
Amar Jyoti: The Eternal Flame
Memorial to honor the first World War Indian soldiers and the Freedom Fighters

Cellular Jail in Andaman and Nicobar Islands, India, stands as a dark reminiscence of the British rule in the Indian subcontinent. This most dreaded and grueling colonial prison situated in the remote archipelago was used by the British particularly to exile Indian political prisoners. Isolated from the mainland, this jail, also referred to as Kala Pani (where Kala means death or time and Pani means water in Sanskrit) witnessed the most atrocious punishments imposed on prisoners. India’s struggle for independence saw imminent freedom fighters like Batukeshwar Dutt and Veer Savarkar being incarcerated in this jail. The jail, completed in the year 1906 acquired the name ‘Cellular’ because it is entirely made up of individual cells for solitary confinement. It originally was a seven prolonged, puce-colored building with central tower acting as its fulcrum and a massive structure comprising honeycomb like corridors. The central tower had a large bell for raising alarm and also during someone going in gallows. The building was subsequently damaged and presently three out of the seven prongs are intact. The Jail, now a place of pilgrimage for all freedom-loving people, has been declared a National Memorial. The jail museum here draws your memories back to those years of freedom struggle.
The path to History
The Tower
Those ropes and....
It was my fourth visit to the jail, yet every time I feel, there are more stories to come out, need to be told. But, who will tell us? The inmates had been killed or might had been silenced by the stroke of time. Only this mute spectator, the Jail, standing along with the Peepal tree, and without uttering a single word telling a lot that mere words can describe. Tears were rolling down the cheeks, grief and sadness engulphed my heart. I was eagerly showing my kids every corner of the cells and corridors and telling the stories I have heard earlier.
Our past laid behind this lock...
So many stories...
The chair of notorious General Barry
Oil machine for coconut oil.....
But in place of a bull, our freedom fighters were made to do the bull work

The freedom fighters in hundreds were sent to the island where they remained under the custody of jailer David Barry and military doctor Major James Pattison Walker. Notable freedom fighters confined in the jail included Batukeshwar Dutt, Diwan Singh Kalepani, Fazl-e-Haq Khairabadi, and the Savarkar brothers - Babarao Savarkar and Vinayak Damodar Savarkar among others. Being in solitary confinement the Savarkar brothers were unaware of each other’s presence in the same jail for two years. Many freedom fighters in the jail went through inhuman and unimaginable tortures, the very thought of which brings chills down the spines. The jail drew attention when its inmates observed hunger strikes in the early 1930s. Bhagat Singh’s associate in the freedom movement, Mahavir Singh went on a hunger strike in protest of such cruel treatment but died when authorities tried to feed him milk forcibly which went to his lungs. His body was thrown into the sea. In 1937-38 following intervention by Mahatma Gandhi and Rabindranath Tagore the government decided on repatriating the freedom fighters.
From the Roof
My kids were pretty shaken seeing the rough clothes meant for the prisoners and the torture tools used by General Barry. But they should know that the freedom they are enjoying didn't come easy. They are standing on the sweat, blood, and flesh of our freedom fighters. The road was never easy, it wasn't meant to be.

Some quick note on Cellular Jail:

When was it built: From 1896 to 1906
Who built it: British
Time took: 10 years
Where is it located: Port Blair, the capital city of the Andaman and Nicobar Islands, India
Why was it built: As Solitary Confinement
Architectural Style: Cellular, Pronged
Visit Timing: 9.00 am to 12.30 pm, 1.30 pm to 4.45 pm
How to Reach: Port Blair is well-connected with many cities of mainland India by sea and air.
Light & Sound Show
It regularly holds Light & Sound (Son-et-Lumiere) shows on India’s freedom struggle in Hindi and English excepting on every Monday, Wednesday, and Friday. The price of a ticket for The light and sound show is Rs. 50/- per adult. (rates may be revised)
P.S. I have visited the place in 2019, 2009, 1993, 1992

If you like my write up, Do not forget to follow me for more, leave your feedback and feel free to share with your friends with the hashtag #kaleidoscopicwindow.
@anindita

Sunday, January 19, 2020

PHOBIA

Most of us have phobias and at any point in time and we can develop a complete new phobia. It's not abnormal to have phobias, but we should not be tied down by that. We can have multiple phobias or just a single one. If you find, your daily life is getting disturbed because of such phobia, you can always get yourself help from a medic or a good friend. 

Now let's talk about what is a phobia- A phobia is a type of anxiety disorder defined by a persistent and excessive fear of an object or situation. The phobia typically results in a rapid onset of fear and is present for more than six months.



Phobias can develop around any object or situation, and some people may have multiple phobias. They can be roughly categorized into two groups: specific phobias. complex phobias. But some study says, there are three main groups of phobias which include:
  • Specific (simple) phobias: which are the most common and focus on specific objects.
  • Social phobia: which causes extreme anxiety in social or public situations, and
  • Agoraphobia: which is the fear of being alone in public places from which there is no easy escape. Some experts have divided them into two- specific and complex( social+ agoraphobia). 
Specific phobias
These are phobias about a specific object or situation, such as spiders or flying. They often develop in childhood or adolescence and for some people, they will lessen as they get older.
Some of the more common specific phobias are:
-animals (such as dogs, insects, snakes, rodents)
-the natural environment (such as heights, water, darkness, storms, germs)
-situational (such as flying, going to the dentist, tunnels, small spaces, escalators)
-body-based phobias (such as blood, vomit, injections, choking, medical procedures, childbirth)
-sexual phobias (such as sexual acts or fear of nudity)
-other (such as certain foods, objects, costumed characters)
Complex Phobia

Social phobia 
Social phobia can be extremely debilitating and can make it very difficult to engage in everyday activities such as:
-talking in groups or starting conversations
-public speaking
-speaking on the phone
-meeting new people
-talking to authority figures
-eating and drinking in front of others
-regular trips out to the shops or bank
-going to work

Agoraphobia
If you have agoraphobia you are likely to experience high levels of anxiety and may avoid a variety of everyday situations such as:
-being outside the home alone
-being in open spaces
-being in a crowd of people
-traveling by car, bus or plane
-being in enclosed spaces such as a lift or in a shop

Well, as the study shows, almost all phobias can be treated, only that we have to identify early and have a willingness to get over with it. Next time if you find someone with some phobia, extend your hand to make the person overcome the situation, rather labeling him or her as a freak. Who knows, what have you got-watch out. 

If you like my write up, Do not forget to follow me for more, leave your feedback and feel free to share with your friends with the hashtag #kaleidoscopicwindow.
@anindita


Monday, January 13, 2020

A CUP OF TEA AND A STORY


TEA …does this word strike a chord in your mind, or do you miss a heartbeat if you miss your morning cup of tea. Oh! Dear, these are nothing meant for me. Am I supposed to be an out of the world one!!! Well! For me, tea is a delicacy, a memory, a story to go on from generation to generation. My great-granddad was very much fond of tea and at that time, says about in the 1950s it was a luxurious affair indeed. My grandmom used to make a big pot full of tea in the early morning. Other old village men used to gather in our courtyard and eventually they all ended up having tea with a daily dose of big talks. Though I couldn’t experience any such things, but the description was so vivid that I felt as if I have seen all. For me, tea was always meant special. While traveling on a long-distance train, the nasal tone of the hawkers in the station, shouting for “CHAI! CHAI!” always made me more curious about the drink. I knew I won’t get a better tea from these vendors, yet every time I would buy in the hope of getting a better taste to remember long.

Not only me but for many of us, tea holds a special place. In some cultures making tea is a part of rituals, it’s an art. There is various way of making tea to appease our tea-thrust. To bring out the right flavor, taste, and color of the tea, is a matter of precision. Talking about tea is like an epic experience. My good friend Samya Roy once enlightened me with some beautiful inputs on Indian Tea varieties. In the Indian market, we get mainly three major varieties of Tea—green Tea, Kangra& Orthodox.
Now a day’s people are more fascinated with green tea for its antioxidant property and nutrients. Green tea helps to detox your body and melts your stubborn fat. So, while a cup of green tea detoxifies your body, the toxic contents accumulate in the kidney. Hence, it is advisable to take plenty of water as well to flush out those toxins, otherwise, the effect may differ. On a funny note, one surly would lose fat, once the person will pluck the leaves by self and make tea out of it.

Kangra tea has a distinctive flavor. The subtle taste and smell can make your morning happier. It doesn’t produce dark liquor, as it is leaf-based. People, like my dad, who enjoys black tea, Kangra could be a wise pick for them.
In general, we drink orthodox tea. It has two different varieties, leaf and CTC or crushes, tears and curl. Well, leaf further can be divided into – leaf, half dust, and dust. CTC, on the other hand, has numerous varieties too, like—PD, OF, BP, BOP &, etc. Most of the street side tea sellers use the low-quality CTC tea only, thus we get color but no flavor. People, who love to have milk infused tea, use CTC and at the end of preparation, they tend to add pinches of leaf tea to get the flavor as well. One may get the best quality CTC tea from Assam’s tea gardens, where it has taste and flavor but may cost a bit heavy. Darjeeling tea is widely marketed and It is processed as black, green, white and oolong tea. When properly brewed, it yields a thin-bodied, light-colored infusion with a floral aroma. Some may like Nilgiri tea as well and draw a comparison between Darjeeling and Nilgiri varieties. Darjeeling tea is a very light-colored infusion with a mossy-vegetal and some may even say fruity flavor. The flavor tends to last on the palate for a long time and is very palatable. Nilgiri tea, on the other hand, is known for its extremely strong aroma.

Oh!!! We have chatted over a long tea story. Without taking much of your time, I may conclude with a little tip. Take a small amount of tea, and start rubbing it with your thumb on to your palm. If those tea granules pinch your skin, then it’s fresh tea. And if it doesn’t pinch, it’s stale. Tea is very sensitive and it loses its taste within two to three months of plucking. Next time you go for a tea shopping remember these, and you will get good quality for sure…. Bon Apetit!!

If you like my write up, Do not forget to follow me for more, leave your feedback and feel free to share with your friends with the hashtag #kaleidoscopicwindow.
@anindita